Yes, Chef! মানে কমান্ডের এর কথার উত্তর এক সাথে ১০/২০/৩০ জন কে বলতে হয়, আমি সজাগ আছি শেফ, আমি আপনার অনুমতির অপেক্ষায়। প্রফেশনাল রান্নাঘরে এক একজন কুক এক একজন সৈনিক এর মত, সব সময় ডিসিপ্লিন এ থাকতে হয়, থাকতে হয় সজাগ ঠিক সৈনিক এর মত।
যেকোনো সময় জেনারেলের ডাক পরতে পারে। তখন Yes, Sir! এর জায়গায় আমরা বলি Yes, chef! এই শব্দের প্রচলন এমনি এমনি হয়নি। এক সময় প্রফেশনাল রান্না ঘরে মারামারি এমনকি প্রকাশ্যে খুনখুনি হতো, আর হতো কুকদের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা। যে মহান মানুষটি এক সময় সেনাবাহিনীতে রান্নার কাজ করতেন, তিনি তখন ভাবলেন এমন একটা বিষয় যার মাধ্যমে রান্নাঘরে চেইন অফ কমান্ড নিয়ে আসা যায়। যদিও কাজটি ছিলো খুব খুব কঠিন, কারণ সে সময় এর কুকরা রান্না করতে করতে মারামারি যেমন করতো তেমন সমানে করতো মদ্যপান। তিনি আস্তে আস্তে রাঁধুনিদের প্রফেশনাল ড্রেস, জুতা, কিচেন ব্রিগেড সিস্টেম যার মাধ্যমে শেফ আর কুকদের কাজ কে ভাগ করে দেওয়া হয় আর সেই সাথে চেইন অফ কমান্ড প্রচলন করেন। এই সিস্টেম এখন প্রতিটি প্রফেশনাল রান্নাঘরে বিদ্যমান। তাছাড়া আমরা যখন রেস্টুরেন্টে খেতে বসি, তখন স্টাটার, ফাস্ট কোর্স, সেকেন্ড কোর্স এই ভাবে ফুড গুলোকে আমাদের কাছে পরিবেশন করা হয় এক সাথে পরিবেশন এর পরিবর্তে, এটিও তার মহান আরও একটি কাজ। এছাড়া উনি রান্না সম্পর্কে যে বই লিখেছেন তা আজও অনেক ইউনিভার্সিটিতে এখনো সন্মানের সাথে পড়ানো হয়ে থাকে। সব থেকে বড় বিষয় মাদার সস উদ্ভাবনে যা আমি আরো একটি লেখায় লিখেছি। উনার কাজের পরিধি কুলিনারিতে এত ব্যাপক ছিলো যে তাকে বলা হয় কিং অফ শেফ বা শেফদের সম্রাট নামে। এই মহান মানুষটি প্রায় ৫০ বছর প্রফেশনাল রান্নাঘরে কাজ করেছেন, আর কাজ শিখিয়েছেন ২০০০ এর বেশি শেফকে। তার অবদান কুলিনারিতে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই মহান ব্যাক্তির নাম হলো জজেস অগাস্টা এস্কফিয়ার।
তোমরা যারা তরুণ, যারা এই পেশাকে ভালোবাসো, রান্নাকে পেশা হিসেবে নিতে চাও। তাদের প্রতি আমার উপদেশ রান্না, রন্ধন বিদ্যা, কুজিন, শেফ বা কুক প্রতিটি বিষয় এর গভীর এ যেতে হবে, তবেই তোমাদের শিকড় বিস্তৃত হবে এই পেশায় যা তোমাদের একদিন সফলতার রাস্তা দেখাবে।