📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming! Sign Up Our Newsletter for Update

📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming!
Sign Up
Our Newsletter for Update

শেফ গ্যারি রোডস(OBE)

93

আপনি আমার জন্য বিশেষ কিছু। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন আমার রান্নার প্রতি আবেগ দেখে। জিজ্ঞাসা করে, কে আমাকে প্যাশনেট করেছ আর কিভাবে আমি এই পেশা বেছে নিয়েছি। আমি বলি আপনার কথা, সেই সময় আমার জীবনের কঠিন সময়… প্রায় সময় বিছানায় শুয়ে থাকতাম। আপনি একটা রান্নার প্রোগ্রাম দেখে ও University of West London এর প্রসপেক্টাস দেখে রান্নার প্রতি ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছি। জীবনে অনেক উত্তান আর পত্তন দেখেছি, কিন্তু কখনো এই সমুদ্রের বাইরে যেতে পারিনি। আমার প্রচন্ড রকম ইচ্ছে ছিলো, আপনার সাথে দেখা করার….আজকের লেখাটি বিশেষ কিছু আমার কাছে। কারণ যে সময়ে ছেলে মেয়েরা বেশিরভাগ খেলাধুলায় মত্ত থাকে সে সময়ে একটা ছেলে রান্নাঘরের খেলায় মত্ত ছিলেন। মা কর্মজীবী থাকায় মাকে সাহায্য করতে রান্নাঘরের দ্বায়িত্ব নেন নিজে। নানা রকম উদ্ভাবনী নিয়ে রান্নাকে করেছেন নিজের প্যাশন। ১৩ বছর বয়সে পরিবারের জন্য রোস্ট ডিনার তৈরি করেছিলেন একাই। তখন থেকেই রান্নার প্রতি তার স্পৃক্ততা শুরু। কার সম্পর্কে বলছি? চলুন জেনে নেই সেই মানুষটি সম্পর্কে।

গ্যারি রোডস(OBE)

১৯৬০ সালের ২২ এপ্রিল জন্ম হয় গ্যারি রোডস এর। যিনি মিডিয়ার পরিচিত একটি মুখ। তার রয়েছে একাধিক রেস্টুরেন্টের মালিকানা। পেয়েছেন ৬ টি মিশেলিন স্টার। তার স্পাইকি চুলের জন্যেও বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি।

 

রন্ধনশিল্পের যাত্রা

ইংলিশ কুজিন এবং রান্নার উপকরণের প্রতি তার ছিল গভীর ভালোবাসা। ১৪ বছর বয়স থেকেই তার অনুপ্রেরণার জায়গা তৈরি করে নেয় এই রন্ধনশিল্প। প্যারিস ও লন্ডনের George Orwell’s Down and Out (জর্জ অরওয়েলস ডাউন এন্ড আউট) এ তিনি পড়াশোনা করতেন। স্বপ্ন ছিলো একজন প্রফেশনাল শেফ হওয়ার। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হন নিজের সাথে।

 

ক্যারিয়ার

স্কুল জীবন শেষ করে প্রফেশনাল শেফ হওয়ার জন্য থানেটের ক্যাটারিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। সেখানে তার পরিচয় হয় জেনির সাথে। যাকে নিয়ে তিনি ঘর বাধেন। এরপর তার জব হয় Amsterdom Hilton Hotel (আমস্টারডাম হিলটন হোটেল) এ। 

এইখানে থাকাকালীন একটি ট্র্যানজিট ভ্যানের ধাক্কায় রোডস গুরুতর দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য ৮ ঘন্টা অস্ত্রপাচার করা হয়।
সুস্থ হওয়ার পর রোডস লন্ডনে ফিরে আসে তার পরিবারের সাথে। পল মলের রেস্টুরেন্ট Refom Club( রিফম ক্লাব) এর Sous শেফ হওয়ার পূর্বে তিনি বিভিন্ন চাকরিতে ইউরোপ সফর করেন। এরপর মিশেলিন স্টারড রেস্টুরেন্ট Capital Hotel in Knightsbridge ( ক্যাপিটাল হোটেল ইন নাইটব্রিজ) এ জব করেছেন। সেখানে ব্রায়ান টার্নারের অধীনে তিনি কাজ করতেন।

রোডস মাত্র ২৬ বছর বয়সে সমারসেট টনটনের Castel Hotel এর প্রধান শেফ হয়ে ছিলেন ও তাদের মিশেলিন স্টারকে ধরে রেখেছিলেন। এর এক বছর পর তার টেলিভিশনে আগমন ঘটে।
১৯৯০ সালে ৩০ বছর বয়সে রোডস মেফেয়ারের (Mayfair) Green House(গ্রীণ হাউস) রেস্টুরেন্টের প্রধান শেফ হওয়ার জন্য পরিবারের সাথে লন্ডনে ফিরে আসেন ১৯৯৬ সালে । সেখানে তিনি আরো একটি মিশেলিন স্টার অর্জন করে। এরপর ১৯৯৭ সালে তার প্রথম রেস্টুরেন্ট City Rhodes ( সিটি রোডস) ওপেন করেন পরবর্তীতে Rhodes in the Squre(রোডস ইন দ্য স্কয়ার) রেস্টুরেন্টটি খোলেন। এই দুটি রেস্টুরেন্টে London With Global Contract Catering Company Sodexo এর অংশীদার ছিল। এই অংশীদারত্ব প্রসারিত হয়ে The Brrasseries Rhodes & Co-in- Manchester Rhodes ও Edingburgh and Crawely পর্যন্ত বিস্তর লাভ করেছিলো। Rhodes in the Squre এবং City Rhodes বন্ধ হওয়ার পর লন্ডনের সবচেয়ে বহুতল ভবনগুলোর একটি Tower 42(টাওয়ার42) খোলেন। এছাড়া তিনি P&O এর সুপারলাইনার MS Arcadia তে Arcadian Rhodes, লন্ডনের The Cumberland Hotel ( কাম্বার ল্যান্ড হোটেল) এবং Rhodesh Calabash at the Calabash( রোডস ক্যালবাশ ও দ্য ক্যালব্যাশ) এর মালিকানাধীন ছিলেন।

 

মিডিয়া

বিবিসি গুড ফুড ম্যাগাজিনের একজন কন্ট্রিবিউটর ছিলেন রোডস। হট শেফস এর মাধ্যমে তিনি প্রথম টেলিভিশনে প্রবেশ করেন৷ এরপর ১৯৯৪ সালে বিবিসি সিরিজ Rhodes Around Britain abd Gary’s Rhodes ও Perfect Christmas এর মাধ্যমে বপশ পরিচিতি লাভ করেন।
১৯৯৯ সালে রোডস বিবিসি টিভিতে Gary’s Rhodes ও New British Classics এ ব্রিটিশ কুজিনের পুনঃপ্রবর্তন ঘটায়। একই নামে তিনি একটি বই প্রকাশ করেন। ২০০০-২০০১ সালে রোডস PBS এ মূল Master Chef USA এর হোস্ট ছিলেন।
২০০৮ এ তিনি Accross India সিরিজে ছিলেন। সেখানে আরো উপস্থিত শিক্ষানবিশ শেফ বুশরা, আকরাম, স্কট ডেভিস, কালওয়ান্ত সাহোতা। রোডস ওই সিরিজে চাইনিজ কুজিনকে রিপ্রেজেন্ট করোছিলেন মেলিস সাইয়ার্স ও তেরেসা সাং এর সাথে।

১৯৯০ এর শেষের দিকে রোডস Tate & Lyle এর সাথে বানিজ্যিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। 

চুক্তি অনুযায়ী রোডস তার রেসিপিতে Tate & Lyle এর চিনি ও ট্র্যকল পণ্যগুলো ব্যবহার করবেন এবং রোডসের ছবি তাদের প্যাকেজিং এ ব্যবহার করা হবে।
Cooking School Campaign with Flora UK তে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৭ জুন ২০০৬ সালে তিনি Officer of the Order of British Empire (OBE) তে নিযুক্ত হন। সেসময়ে তিনি বিবিসি এর Great British Manue তে South Of England এর প্রতিনিধিত্ব করেন ও কম্পিটিশনে অংশ নেন। কিন্ত আর এক গ্রেট ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান শেফ অতুল কোচারের কাছে পরাজিত হয়। BBC to stoot এর গেম শুটিং শো, Strictly dance সহ আরো নানা ধরনের টিভি শো তে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালে তিনি দুবাই চলে আসেন। সেখানে Mezzanine, Rhodes W1, Dubai, Grosvenor House Hotel, Le Meridian Beach and Spa  Le Meradian Twenty10 এসকল রেস্টুরেন্টগুলোতপ নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন।
২০১৩ সালে আবুধাবির The St. তে Rhodes-44 রেস্টুরেন্টটি অপেন করেন। তিনি Manchester United এর একজন সাপোর্টার।

 

আমি কখনো কোন শেফ কে ফলো করি না, আমি কখনো বলিনা আমি অমুক শেফের সাথে কাজ করছি, তার থেকে ট্রেইনিং নিয়েছি। আমার কাছে এগুলো নিজের প্রচার বলে মনে হয়। তবে আমার জীবন এ গ্যারি রোডস এর বিশাল অবদান আছে। অসুস্থ শরীর নিয়ে শুয়ে থাকা আমি একদিন ডিসকাভারি চ্যানেলে Accross India দেখে রান্নার প্রতি আগ্রহী হয়। সে অসুস্থ শরীর নিয়ে আস্তে আস্তে আমি এই শিল্পে ঝাঁপিয়ে পরি, নিজের চেষ্টায় যা পারছি শিখছি একে একে আমি ৫ টি কুকিং এর উপর আর একটি হসপিটালিটির উপর ডিগ্রী নেওয়া হয়, তবে আমার মনে হয় না আমি কিছু জানি। শেখার ব্যাপারে আমি শিকারী বাঘের মত, আর জানতে চাই…এই আগ্রহ আমার কখনো শেষ হবে না। নিজেকে নিজে মোটিভেট করে এত দূর আসা। শেফ গ্যারির রান্না দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম তেমনি আমার ইউনিভার্সিটির প্রথম শেফের নাম গ্যারি ফ্যায়ারলি। উনি সহ আমার সকাল শিক্ষক আর প্রফেশনাল রান্না ঘরের সব শেফ, কুক সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমাকে অনুপ্রাণিত করা শেফ গ্যারি হঠাৎ করে মাত্র ৫৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন ২০১৯ সালে দুবাই এ। এই খবর আমাকে চরমভাবে হতাশ করে, কারণ আমি কয়েক বছর ধরে পরিকল্পনা করছিলাম উনার সাথে দেখা করার। আমার এক পরিচিত ইন্ডিয়ান শেফ উনার আন্ডারে জব করেন তাই খুব ইজিলি আমার দেখা করার কথা ছিলো। এই দেখা করতে না পারা আর একটা ধন্যবাদ দিতে না পারা, আমার জন্য চরম হতাশার। এই হতাশা কখনো দূর হওয়ার নয়।

Join the Conversation

  1. Mohammad e says:

    My favorite mentor is Chef

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *