📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming! Sign Up Our Newsletter for Update

📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming!
Sign Up Our Newsletter for Update

Is eating too much salt bad?………Part 3

Is eating too much salt bad?

স্বাদবর্ধক হিসেবে লবণ অতি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ তা আমরা সবাই জানি। সেই সাথে খাবার সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করা হয়। খাদ্য সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহারের কারণ হলো খাবারে কোন ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারেনা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হতে পারে না। লবণের অনেক উপকারিতার মধ্যেও অপকারিতাও। লবনে থাকা সোডিয়াম শরীরের জন্য মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণ হয়ে গেলে তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

আমরা সাধারণত যে লবণ খাই তাদের তা মূলত সোডিয়াম ক্লোরাইড, যাতে প্রায় ৪০% সোডিয়াম ও ৬০% ক্লোরাইড থাকে। আমরা যে পরিমাণ সোডিয়াম গ্রহণ করি তা আসলে পাওয়া যায় খাবার লবণ থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, সারা বিশ্বের মানুষ প্রয়োজনে তুলনা অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম গ্রহণ করে। আরো তথ্য অনুযায়ী একজন ব্যক্তি প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করে। কিন্তু নির্ধারিত মাত্রা সোডিয়াম এর পরিমাণ ২০০০ মিলিগ্রাম বা ৫ গ্রাম পরিমাণ। মূলত কোষের প্লাজমা ঠিক রাখতে দেহে ক্ষারের মাত্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে, স্নায়ু সঞ্চালন ও কোষের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সোডিয়াম প্রয়োজনীয়। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় সোডিয়াম গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে লবন খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে। গর্ভবতী অবস্থায় লবণ খাওয়ার মাত্রা প্রয়োজনের থেকেও কম করা উচিত। যে লবন খাওয়াই হোক না কেন আয়োডিনযুক্ত লবণ খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

 

বিশেষ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাত্রা অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপের বৃদ্ধি হয়। এছাড়া আরো নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে। অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফলে বছর বিশ্বে ১৮ থেকে ৯০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। কারণ অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।

লবণ খেলে কি কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে আজকের আলোচনা-

মাত্রা অতিরিক্ত লবণের কারণে হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, স্থূলতা, হাড়ের সমস্যা, কানের একধরনের মেলিয়ার ডিজিজ, কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হয়। শারীরিক ভারসাম্য ঠিকঠাক বজায় রাখার জন্য দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম পরিমাণ সোডিয়াম গ্রহণ করলেই যথেষ্ট।

উচ্চরক্তচাপ

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে উচ্চ রক্তচাপে সৃষ্টি হয়। এ কারণে সোডিয়াম জাতীয় খাবার উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আমাদের ধমনীর ভেতর মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও কিডনির সমস্যা ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। যাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে তাদেরকে চিকিৎসক সবসময় লবণ কম খাওয়ার জন্য অনুরোধ করে থাকেন। কারণ তাদের প্রয়োজনে তুলনায় বেশি লবণ খেলে ব্ল্যাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কিডনির সমস্যা

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে রক্তে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ফলে কিডনি জনিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

রান্নায় কখন লবণ ব্যবহার করতে হয়? রান্নায় লবনের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

জলীয় পদার্থের বৃদ্ধি

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে শরীরে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এজন্য লক্ষ্য করলে দেখা যায় অনেকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায় যেমন হাত, পা, কুনুই, হাটু, গোড়ালি।

পানির পিপাসা জনিত সমস্যা

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে শরীর মুখ শুষ্ক হয়ে যায়। তখন পানির পিপাসার বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সোডিয়াম বজায় রাখার জন্য শরীর পানির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

ওজন বাড়ার কারণ

লবণ সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধি করে। প্রায়ই প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোতে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ ব্যবহার করা হয়। যা আমরা প্রতিনিয়ত অবলীলায় খেয়ে থাকি। এর ফলে আমাদের শরীরে ক্যালোরি বৃদ্ধি পায় ও ওজন বাড়ে।

সকল চিকিৎসক এবং পরামর্শবিদরা লাবনের মাত্রা সঠিক রেখে লবণ গ্রহণ করার জন্য সব সময় বলে থাকেন। অতিরিক্ত লবণ আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। জানি মাত্রাতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো হয় না। পরিমিত পরিমান খাদ্যাভ্যাস আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত খাদ্যাভ্যাসে পরিমিত খাদ্যগ্রহন এবং নিয়মমাফিক জীবন যাপন করার জন্য সকল নিয়মাদি মেনে চলা।