আজকে আমি একটা কুৎসিত প্রাণী সম্পর্কে বলবো। গম্ভীর মুখ, দেখতে নরম-নরম আর অলস, এই প্রাণী একবার দেখলে মনে হয়না চেহেরা ভুলতে পারবেন? কারণ এইটি দুনিয়ার অন্যতম কুৎসিত প্রাণীর তকমা পেয়েছে।
এবার আসা যাক এই আবিস্কারে। এই অতিব সুন্দর প্রাণীর নমুনা প্রথমে নিউজিল্যান্ডের উপকূলে একটা গবেষণা জাহাজে ধরা পরে ১৯৮৩ সালে। কিন্তু, এর নমুনা পাওয়া গেলেও প্রাণিটি সম্পর্কে বেশি তথ্য জোগাড় করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ২০০৩ সালে আর একটি নমুনা ছবি তোলার পর, এই প্রাণীটি ব্যাপকভাবে রাতারাতি কুখ্যাতি পেয়েছে নেট দুনিয়ার মাধ্যমে।
এই প্রাণী বাস করে সমুদ্রের একদম গভীরে। ১৫০০ থেকে ২০০০ ফুট গভীরে, ভাবা যায়? যেখানে পানির চাপ ৬০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। যেকোনো কিছু যেখানে দুমড়ে-মুচড়ে যাবে পানির চাপে।
কিন্তু, এটি সেইখানে নিজেকে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে, কালো চোখ, দেহ গোলাপী ধূসর রঙের, লেজের দিকটা দেখতে চ্যাপ্টা আকৃতির, এর দৈঘ্যে ৩০ সেন্টিমিটার কম, ওজন দুই কেজির কম হয় আর এই প্রাণী ১৫০- ২০০ বছর বাঁচে।
এর বিচরণ এর জায়গা অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের গভীর সমুদ্র এলাকা। এই মাছের নাম হলো ব্লবমাছ বা ব্লবফিশ(Blobfish)।
গভীর সমুদ্রে থাকার কারণে এই মাছ সম্পর্কে খুব কম জানা যায়, সচরাচর দুইটা ব্লবফিশ কাছাকাছি থাকে। ধারণা করা হয় যে, স্ত্রী ব্লবফিশ কাছাকাছি থাকে ডিম পাড়ার সময়, আর ডিমের সংখ্যা ১০০০ থেকে ১০৮০০ পযন্ত হতে পারে। ব্লবফিশ খুব কম সাঁতার কাঁটে তাই এর সামনে যে ছোট সামুদ্রিক কীট পাওয়া যায় তাদের খেয়ে জীবন ধারন করে।