আজ পরিচয় করিয়ে দিবো ফরাসি খাবারের রাণীর সাথে। শুধু ফ্রেঞ্চ না তিনি বিশ্বের অন্যতম প্রশংসিত একজন বিখ্যাত মহিলা শেফ। ২০১১ সালে বিশ্বের ৫০টি সেরা রেস্তোরাঁ দ্বারা সেরা মহিলা শেফ হিসাবে মনোনীত হয়েছেন৷ তিনি বর্তমানে ৯টি মিশেলিন তারকা এ্যাচিভ করেছেন, এটা শেফদের সেরা গৌরব। ৯০ বছরেরও বেশি আগে মিশেলিন বিশ্বের সেরা রেস্তোরাঁর র্যাঙ্কিং শুরু করার পর থেকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শেফদের মধ্যে তিনি একজন এবং মাত্র কয়েকজন মহিলার মধ্যে একজন হিসাবে বিবেচিত এবং তিনি আধুনিক ফরাসি খাবারের পিছনে সবচেয়ে প্রভাবশালী শেফদের মধ্যে একজন।
অ্যান-সোফি পিকের জন্ম ১৯৬৯ সালে ফ্রান্সের ভ্যালেন্স এ। তরুণী বয়সে তিনি শেফ হওয়ার কথা চিন্তাই করেন নি ২৩ বছর অবধি, যদিও তার বেড়ে ওঠা এমন এক পরিবেশে যেখানে রান্না হলো ধ্যান আর জ্ঞানের মত প্রাত্যহিক বিষয়। কারণ আনার মা ছিলেন একজন বিখ্যাত শেফ, এমনকি তাঁর দাদা, বাবাও ছিলেন বিখ্যাত শেফ। শুধু বিখ্যাত বললে কম বলা হয়, তারা এক একজন মিশেলিন শেফ ছিলেন। তাই পারিবারিক আর পরিবেশগতভাবে তার রান্না মজ্জাগত একটা বিষয় ছিলো।
তার বাবা আর দাদার বিখ্যাত তিন মিশেলিন রেস্টুরেন্ট মেসন দে পিক এ অ্যান প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। তার বিখ্যাত শেফ বাবা হঠাৎ করে মারা গেলে তার উপর রেস্টুরেন্টির দায়িত্ব চলে আসে। কিন্ত সেই বিখ্যাত রেস্টুরেন্টটি তার তিন তারকা মিশেলিন হারিয়েছিল ২০০৫ সালে।
তবে অ্যানের কঠোর পরিশ্রমে সেই তারকা আবার ফিরে পায় ২০০৭ সালে এবং সেটি হয় দুনিয়ার ৫০ টি বিখ্যাত রেস্টুরেন্টের মধ্যে একটি। এছাড়া অ্যান বিভিন্ন দেশে পাঁচটি রেস্টুরেন্টের মালিক। প্যারিস, লন্ডন, সুইজারল্যান্ড এমন এমন বিখ্যাত জায়গায় উনার রেস্টুরেন্ট।
তার রন্ধন শৈলী এবং তার প্রস্তুত করা প্রতিটি ডিশে পাওয়া যায়। খুব সিম্পল একটা সিজনাল শালগম বা গাজর। এই উপাদানের স্বাদ ধরে রেখে কিভাবে আরও প্রানবন্ত স্বাদ আনা যায় তিনি তাই করে দেখিয়েছেন আর দেখাচ্ছেন বছরের পর বছর।
সাদা পোশাকের এক ভদ্র মহিলা পুরুষ শাসিত কালিনারি শিল্পে নিজেকে প্রকাশ করেছেন একজন রান্নার রাণী হিসেবে।