📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming! Sign Up Our Newsletter for Update

📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming!
Sign Up Our Newsletter for Update

Significance of chicken

মুরগির তাৎপর্য

খাদ্য এবং অর্থনীতিতে বিশ্বব্যাপী মুরগীকে ( Gallus gallus domesticus ) বিশ্বকোষীয়ভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রিত প্রাণীদের মধ্যে একটি বলে ধারণা করা হয়, যা নশ্বর খাদ্য ব্যবস্থা এবং মিতব্যয়ীতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুরগি প্রায় প্রতিটি দেশে উৎপাদিত হয় এবং খাদ্য, পুষ্টি, আয়, এবং কর্মসংস্থানের অত্যাবশ্যক উৎস হিসাবে কাজ করে। এরা বিশ্বব্যাপী খাদ্য পণ্যে অবদান রাখে, পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে এবং লাভজনক অবস্থা তৈরিতে সমর্থন করে। আজকের লেখাটি খাদ্য ও পুষ্টি, মিতব্যয়িতা, পালন এবং পরিবেশগত প্রভাবের ক্ষেত্রে মুরগির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করবো।

খাদ্য ও পুষ্টি

খাদ্য ও পুষ্টি মুরগির অংশ প্রাথমিকভাবে দুই ধরনের খাবার ডিম এবং মাংস দেয়, উভয়ই পুষ্টির প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।প্রোটিনের উৎস ডিম এবং মাংস প্রোটিনের চমৎকার উৎস। 

যা শরীরের কোষকে দৃঢ় করার জন্য কাজ করে। এবং রঙিন মাংসিক ক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য অপরিহার্য।  মুরগির মাংস হজম করা সহজ, এটি প্রোটিনের অভাব মোকাবেলার একটি কার্যকর উপায়। এতে রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল। এর ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, বি 12 এবং খনিজ রয়েছে। মাংসে লোহা, দস্তা এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি রয়েছে,  শক্তি, রক্তের সঞ্চালন এবং হাড়ের স্বাস্থ্যকে রক্ষা করে।  এতে কম চর্বি এবং ক্যালোরি থাকে লাল মাংসের তুলনায়। মুরগিতে কম চর্বি এবং সামান্য ক্যালোরি রয়েছে, যা তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন বা ওজন কমানোর পরিকল্পনাকারীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।  

লাভজনক ভাবে মুরগি উৎপাদন বাড়ানো

অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক এবং বিশ্বব্যাপী মুরগি পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষ বা পার্শ্ববর্তীভাবে দৈহিক পরিশ্রমে নিযুক্ত হয়। যাজকীয় এলাকায়, যেখানে প্রচুর পরিশ্রম প্রায়শই অনুপস্থিত থাকে, লোকেরা জীবিকা অর্জনের জন্য মুরগি উৎপাদন বাড়ায়। ফিড পণ্য, মাংস স্বাস্থ্যসেবা, প্রক্রিয়াকরণ এবং চুক্তিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা পর্যাপ্ততা মাংস পালনের মাধ্যমে একটি স্বল্প-বিনিয়োগ, লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সাশ্রয়ী ফলাফল তৈরি করে। নারীসহ অসংখ্য পরিবার ন্যূনতম পুঁজি বিনিয়োগে ছোট ছোট জমিতে মুরগির খামার তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।  

রপ্তানির ক্ষেত্রে

 মুরগির মাংস এবং ডিমের বৈশ্বিক চাহিদা যোগ হচ্ছে, এবং অনেক দেশ মাংস পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মতো দেশগুলি মুরগির মাংসের শীর্ষ রপ্তানিকারক।

কৃষি এবং টেকসই উন্নয়নে মুরগির ভূমিকা

মুরগি কেবল খাদ্য পণ্যে অবদান রাখে না বরং কৃষি কার্যক্রম এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন প্রাকৃতিক রোগের পণ্য মুরগির স্টোক একটি কার্যকর প্রাকৃতিক টক্সিন হিসাবে ব্যবহৃত হয়, এতে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম থাকে যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এটি চাষের জন্য একটি সাশ্রয়ী মূল্যের, পরিবেশ বান্ধব ফলাফল। খাদ্য বর্জ্য যেমন সবজি এবং ফসলের অবশিষ্টাংশ, বর্জ্য পুনরুদ্ধার করতে এবং পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে।  

পরিবেশগত প্রভাব

মাংস পালনে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় পরিবেশগত পণ্য থাকতে পারে। টেকসইভাবে পরিচালিত হলে, এটি ভূখণ্ডের জন্য ভালো উৎস হতে পারে। লো কার্বন ইমিগ্রেশন মিট পালন রেড মিট পণ্যের তুলনায় লো কার্বন ইমিট তৈরি করে। মুরগি গবাদি পশু এবং বলির ছাগলের তুলনায় অল্প জায়গায় প্রতিপালন করে। এদের একটি পরিবেশ বান্ধব বিকল্প করে তোলে।   ভূমি ও জলের কার্যকরী ব্যবহার অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মুরগি নিম্ন ভূমি অবস্থান এবং পানি ধারণ ক্ষমতা বেশি, যা মাংস চাষকে বিশেষভাবে মূল্যবান করে তোলে যেখানে কফার সীমিত। 

স্বাস্থ্যগত সমস্যা

যদিও মাংস পালন খাদ্য এবং মিতব্যয়িতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এটি যথাযথভাবে পরিচালিত না হলে এটি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও বহন করে।   এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা মুরগির এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রামক (রাস্পবেরি ফ্লু) সংক্রমণ করতে পারে, যা মানুষের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক মুরগি পালনে অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহার মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা একটি অজাত স্বাস্থ্যের অঙ্গবিন্যাস করে।   

মুরগি পালন এবং শুধুমাত্র লাভজনক সুবিধার জন্যই নয় বরং সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখে, বিশেষ করে নারীএবং দরিদ্র পরিবারের জন্য। নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য অনেক দেশে, নারীরা মুরগি পালন এবং উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে উঠছে, একটি কাজ যার জন্য ন্যূনতম সময় এবং বিনিয়োগ প্রয়োজন। নারীরা তাদের পরিবারের আয়ে অবদান রাখার পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা দায়বদ্ধতার পাশাপাশি মুরগি পালন এবং পরিচালনা করতে পারে। দরিদ্র পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের, পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করে। ডিম এবং মুরগির মাংস হল কম খরচ এবং পুষ্টির সাবলীলভাবে গ্রহণযোগ্য উৎস, যা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। মুরগি পালন খাদ্য নিরাপত্তা, লাভজনক উন্নয়ন এবং পরিবেশগত ভারসাম্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধুমাত্র প্রোটিনের উৎস নয় বরং লাভজনক বৃদ্ধি এবং সামাজিক পরিবর্তনের একটি হাতিয়ারও বটে। তারপরও, সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে, মাংস পালন স্বাস্থ্য এবং ভূখণ্ডের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। দৃঢ় অনুশীলন এবং সঠিক পরিচালনা এর সুবিধাগুলি সর্বাধিক করার জন্য অপরিহার্য।