📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming! Sign Up Our Newsletter for Update

📍Chef Xavier's New Culinary Course is coming!
Sign Up Our Newsletter for Update

শেফ বিনেত ভাটিয়া

বিনেত ভাটিয়া এমবিই (MBE) একজন ভারতীয় শেফ। একই সাথে একাধিক রেস্টুরেন্ট মালিক, লেখক ও স্যোসাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ। তিনি প্রথম ভারতীয় মিশেলিন স্টার শেফ। তিনি দুইটি মিশেলিন স্টার (Michelin Star) অর্জন করেছেন। বর্তমানে তার সিগনেচার রেস্টুরেন্ট ‘Kama by Vineet’ সহ ১১ টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তিনি নেটফ্লিক্সে Show The Final Table এর বিচারক। এছাড়া Master Chef India এর বিচারক ও হোস্ট হিসেবে রয়েছেন। আজকে জানাবো বিনোদ ভাটিয়ার একজন মিশেলিন স্টার হওয়া ও সাফল্যের গল্প।

পরিচিতি

৯ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে মুম্বাইতে বিনেত ভাটিয়া এমবিই (MBE) এর জন্ম। মুম্বাই শহরে বেড়ে ওঠা ভাটিয়ার বাসস্থান ছিলো জহু বিমানবন্দরের কাছেই। প্রতিদিন উরন্ত বিমানের শব্দ তাকে আকৃষ্ট করত। তাই ছোট থেকে তার স্বপ্ন ছিলো একজন পাইলট হওয়ার। সেই মোতাবেক সে নিজেকে প্রস্তুত ও করেছিলেন। একজন পাইলট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে ওটা মানুষ রন্ধন শিল্পে নিজের একটা পাঁকা অবস্থান গড়ে তুলেছেন। 

রন্ধন শিল্পে আগমন

পাইলট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ১৭ বছর বয়সে ভাটিয়া বিমানবাহিনীতে যোগদানের জন্য জাতীয় প্রতিরক্ষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তবে ফিজিক্যাল টেস্টে ব্যার্থ হন।

তার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন অবাস্তব হয়ে গেল। তবে তিনি ভেঙে পড়েননি। প্রতিটা মানুষের উচিত ব্যার্থতাকে দূরে ঠেলে নতুন করে নিজেকে নতুন ভাবে গড়ে তোলা। শেফ ভাটিয়া ঠিক সেই কাজটিই করেছেন। মায়ের থেকে অনুপ্রানিত হয়ে রান্নার প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হলো। সেখান থেকে তিনি সম্পূর্ণরূপে রান্নায় মনোনিবেশ করেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাফল্যের উচ্চ শিকড়ে সে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। আজকে তিনি লন্ডনে কালকে মিডলইস্টের নিজের কোন রেস্টুরেন্টে আর তার দুইদিন পর ভারতে পাঁচ তারকা হোটেল এ নিজের নামে কোন রেস্টুরেন্টে।

ক্যারিয়ার

Oberoi School of Hotel Management এ নিউ দিল্লিতে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ভাটিয়াকে নিয়োগ করা হয়েছিলো। সেখানে তিনি ১৯৮৮-১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি বাবা মায়ের পরামর্শে অর্থনীতিতে ডিগ্রীও অর্জন করেন।
প্রশিক্ষণ শেষ হতেই ওই সময়ে The Oberoi তে শেফ ডি কুজিন হিসেবে কাজ করেন ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। তবে তিনি এখান থেকে নিজেকে বিকাশ করতে পারছিলো না। কাজের মধ্যে স্বাধীনতা ছিলো না। নিজে থেকে কোন কিছু আবিষ্কার করার উপায় ছিলো না। এসব কিছু থেকে নিজেকে আরো ভালোভাবে গড়ে তোলার জন্য লন্ডনে যান ১৯৯৩ সালেই। লন্ডনে যেয়ে তিনি সাউথ কেনসিংটনের Star of India তে Executive Chef হিসেবে জয়েন করেন। সেখানে তার রান্নার প্রতি মনোযোগ ও সৃজনশীলতা আকৃষ্ট করেছিল ইভিনিং স্টান্ডডের ফে মাশলারকে। তখন তিনি ভাটিয়া সম্পর্কে একটি মন্তব্য লিখেছিলেন- “Bhatia has taken cooking to a new league; It provides strong evidence that Indian cuisine is capable of evolving”.

ভাটিয়া ও ইকবাল ওয়াহাব একত্রিত হয়ে ‘Cinnamon Club’ খোলেন ১৯৯৮ সালে, পরের বছর হ্যামারস্মিথের ‘Vineet Bhatia’ কিচেনে যাওয়ার পূর্বে। ১৯৯৯ সালে ভাটিয়া Zaika রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০১ সালে ভাটিয়া প্রথম ভারতীয় শেফ যার রেস্টুরেন্ট মিশেলিন স্টার পায়। ২০০১-২০০৪ এই ৩ বছর ভাটিয়া Zaika তে কাটিয়েছেন। ২০০৪ সালে চেলসিতে Rasoi রেস্টুরেন্টে খোলেন। Zaika থেকে তিনি চলে আসেন Rasoi তে। রেস্টুরেন্টটি খোলার কিছু দিনের মধ্যে মিশেলিন স্টার পাবেন বলে অনেকেই ধারণা করেছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে এটি ভাটিয়া কতৃক দ্বিতীয় মিশেলিন ষ্টার ভুষিত হয়। 

এরপর সালে ভাটিয়া সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে Rasoi খোলেন। এই রেষ্টুরেন্টটি ২০০৯ সালে একটি মিশেলিন স্টার পায়। তিনি একাধিক দেশের মিশেলিন স্টার অর্জনের জন্য দ্বিতীয় ব্রিটিশ শেফ হয়েছিলেন।

২০১২ সালে Saffron Lounge খোলেন কাতারের দোহাতে। Saffron উদ্ভোধনের বছরেই ভাটিয়াকে একটি ফাইন ডাইনিং তৈরির এক্সপেরিয়েন্স জানার জন্য কাতার এয়ারওয়েজের Culinary Ambassador হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৫ সালে সৌদি আরবের Monvenpick Hotel Al Khobar এ ‘Maharaja By Vineet’ খোলেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত চেষ্টার পর Food and Travel Arabia Awards এ সেরা ভারতীয় রেস্টুরেন্ট হিসেবে ভুষিত হয় ‘Maharaja By Vineet’।
২০১৬ সালের শেষের দিকে ভাটিয়া তার চেলসিতে অবস্থিত মূল রেস্টুরেন্ট Rasoi কে পুনরায় মডেল করেন, ‘Vineet Bhatiya London’ নামে সংক্ষেপে VBL খোলেন। তার পরিকল্পনা ছিল মাল্টি-কোর্স টেস্টিং মেনু করার। এর ৪ মাস পর অক্টোবর ২০১৭ সালে এটি একটি মিশেলিন স্টার পান। কিন্তু VBL এর অংশিদারদের সাথে মত বিরোধ হওয়ায় এটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। ‘Kama By Vineet’ নামে একটি নতুন ডাইনিং খোলেন ২০১৯ সালে লন্ডনের হ্যারডসে (HARRODS)। যা ভাটিয়াকে ডিপার্টমেন্ট স্টোরের একমাত্র মিশেলিন স্টারড শেফ বলে গণ্য করেন। ২০১৯ সালেই ভাটিয়াকে 6th Edition of Master Chef এ বিচারক হিসেবে ঘোষনা করা হয়।

২০২১ সালে গ্রেট ব্রিটেন ও নর্থ আয়ারল্যান্ড ক্যাম্পেইনের জন্য ভাটিয়াকে Culinary Ambassador হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।International trade and service to hospitality এর জন্য 2023 New Year Honours এ Member of the British Empire (MBE) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়, যার কারণ তার নামের পাশে তা উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মস্কো, মরিশাস, দুবাই, জেভিনাতে এক্সিকিউটিভ কন্সালটেন্সি ছাড়াও আরো বিভিন্ন শাখায় তার সম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে একচেটিয়া হোটেলগুলোর সাথে ভাটিয়া নিজেস্ব দক্ষতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন।

বিনেত ভাটিয়া কালিনারি বিশ্বকে সমগ্র ছড়িয়ে দিতে ও এর ভীত মজবুত করতে নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি UK তে একজন GREAT Ambassador হিসেবে বর্তমানে Gastronomical Sustainability এর জন্য ক্যাম্পেইন করে মানসম্মত পর্যায় অবস্থান করছে। আঞ্চলিক খাবারগুলোর উপর ভিত্তি করে খাবার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন স্ট্রং ইন্সটলেশন থেকে নানা ধরনের এক্সপিরিয়েন্স সংগ্রহ করতে এক্সপো ২০২০ দুবাই এ দুবাই ওয়ানের সাথে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ভ্রমন করেন তিনি।

উল্লখযোগ্য রচনা

বিনেত ভাটিয়া এখন মিশেলিন স্টার শেফ পাশাপাশি একজন লেখকও। তিনি Rasoi-Indian kitchen ও My Sweet Kitchen নামে দুইটি বই রচনা করেছেন। এই দুইটি বই ভারতীয় প্রগতিশীল রন্ধনপ্রনালী থেকে উদ্ভূদ্ধ হয়ে রচনা করা হয়েছে। শেফ বিনেত দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে খাবারের প্রতি ভালোবাসার মাধ্যমে, নিজের স্কিল আর যোগাযোগ ব্যবস্থা দিয়ে একজন খ্যাতিমান শেফ হওয়া যায় (শেফের ফেইসবুকে ফ্রেন্ড হিসেবে আছি ৮/৯ বছর ধরে)।

আমি সব সময় চেয়েছি তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে, রান্না একটা শিল্প যদি নিজের সেরাটা দেওয়া যায় তাহলে এই শিল্প আপনাকে অনেক কিছু দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *